Advertisements


ঋতুভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদী আবহাওয়ার পূর্বাভাস (জানুয়ারি-জুন ২০২২)

BWOT চলন্ত পৃথিবী ১৩
ঋতুভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদী আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আপনাকে স্বাগতম।
পূর্বাভাস সময়সূচি : ৮ ই জানুয়ারি হতে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত, একটি সংখিপ্ত আবহাওয়ার ধারনা।

জলবায়ু পরিবর্তন এর ৮ তম বছরে এসে দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি বেশ পরিবর্তন হতেযাচ্ছে।
অসময়ে বৃষ্টি, ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ, অতিরিক্ত বজ্রপাত, শীতকালে পর্যাপ্ত শীত নেই।
এক কথায় আবহাওয়া খামখেয়ালিপনা আচারন করছে দেশে।

২০২২ সালে এসে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস করতে এসে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হবে।
২০২২ এর আবহাওয়ার বৈশিষ্ট অনেকটা মিল হতেপারে সেই ১৯৯৮ সালের আবহাওয়ার কাছাকাছি।

শৈত্যপ্রবাহ : ২০২২ সালের শুরুতে মানে জানুয়ারি মাসে দেশে কোন তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসছে না, এটা একটা আবহাওয়ার বিড়াট পরিবর্তন।
অতিরিক্ত ঘন কুয়াশা চলতি শীতকালে দেশের অনেক এলাকার মানুষদের ভোগাবে।

শুরুতেই মানে ১১ টু ১৫ ই জানুয়ারি এর ভেতরে দেশের অনেক এলাকা আক্রান্ত হতেপারে বছরের প্রথম দূর্বল / মাঝারি ক্রান্তীয় বৃষ্টিবলয় পরশ দ্বারা।
এটি একটি ঝড়মুক্ত সল্প বজ্রপাতযুক্ত সাধারণ বৃষ্টিবলয়।

বছরের প্রথম কালবৈশাখী ফরমেশন দেশে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হবার কথা।
মানে এরপর থেকে দেশে কালবৈশাখী ঝড়ের মৌসুম শুরু হতেযাচ্ছে।

তবে তার আগে শীতকালে ঘন ঘন দূর্বল ও মাঝারি বৃষ্টিবলয় দ্বারা দেশের অনেক এলাকা আক্রান্ত হবে।

২০২১ সালের গ্রীষ্মকালীন সময়ে দেশের অনেক এলাকায় দীর্ঘসময় কোন বৃষ্টি হয়নি, ও কালবৈশাখী সিজনে তেমন উল্যেখ করার মতো কোন কালবৈশাখী হয়নি, তবে ২০২২ সালের গ্রীষ্মকালীন সময়ে কিন্তু দেশের অধিকাংশ এলাকায় ঘন ঘন কালবৈশাখী ঝড়ের ও তীব্র বজ্রপাত সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

মানে আপনারা ২০২১ এর মতো একটানা খরা পাচ্ছেন না গ্রীষ্মকালে।
এটা কৃষক দের জন্য ভালো হলেও ইটভাটা মালিকদের জন্য সুখবর নয়।

ক্রান্তীয় বৃষ্টিবলয় পরশ, পরশ২, জুৃঁই, জুৃঁই২, আশা, ঝুমুল, প্রলয়/তুফান, স্পার্ক, ইত্যাদি বৃষ্টিবলয় আসছে এই সময়ের ভেতরে (জানুয়ারি টু জুন এর মাঝামাঝি) এখানে দেওয়া বৃষ্টি বলয়ের নাম গুলো পর্যায়ক্রমে দেশে আঘাত করব।

প্রাক বর্ষায় অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য মে ও জুনে সিলেট এর কিছু স্থানে বন্যার সম্মুখীন হতেপারে, তবে খরায় পুড়বে চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক এলাকা।

তাপপ্রবাহ : গ্রীষ্মকালে দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে, তবে সাময়িক সময়ের জন্য, সেটাও বরাবরের মতো রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের জন্য।
শিলাবৃষ্টিও থাকছে গতবছর অপেক্ষা অনেক বেশি।

রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে স্বাভাবিক থেকে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে গ্রীষ্মকালে।

এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সাগরে একটি সিস্টেম তৈরি হতেপারে। তবে এটা ঘূর্ণিঝড় এ পরিনত হবার সম্ভাবনা কম।

তবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে অথবা মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথমদিকে বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় বঙ্গপোসাগরে সৃষ্টি হতেপারে।
যেটার ইমপেক্ট বা আঘাত করার স্থান ভারতের উড়িষ্যা থেকে বাংলাদেশের বরিশালের মধ্যবর্তী যেকোনো স্থানে।

জুনের তৃতীয় সপ্তাহে দেশের বর্ষা বা মৌসুমি বায়ুর আগমন ঘটবে ইনশাআল্লাহ্।
আর এইবছর মৌসুমি বায়ু বেশ শক্তিশালী হতেযাচ্ছে।

শর্ট শিরোনাম: ২০২২ বর্ষাকাল এবার অনেক টা মিল হতেযাচ্ছে ২৪ বছর আগে ১৯৯৮ সালের বর্ষাকালের কাছাকাছি, সুতরাং বাকিটা কিছুটা আন্দাজ করুন।

দেশের উজানে ব্যাপক বৃষ্টি, সমগ্র উত্তর ভারতে, মানে বিহার, ও এর পার্শ্ববর্তী রাজ্য গুলোয় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বর্ষায়। সেইসাথে সেভেন সিস্টার রাজ্য গুলোয়ও ব্যাপক ভারিবর্ষন এর আশঙ্কা আছে।

নোট : এটি যেহেতু অনেক দীর্ঘমেয়াদী আবহাওয়ার পূর্বাভাস, সুতরাং সময়ের পরিবর্তন এর সাথে পূর্বাভাস এর কিছুটা পরিবর্তন হতেপারে, সুতরাং আপনারা নিয়মিত আমাদের সাথে থাকুন।

সবচেয়ে ভালো হয় সরকারি আবহাওয়া অধিদপ্তর এর পূর্বাভাসগুলো দেখা এবং সেটার সাথে আমাদের পূর্বাভাস এর মিল খোজা।

আবহাওয়া তথ্য সূত্র : BWOT WEATHER
সার্বিক সহযোগিতায় BWOT WEATHER এর সকল সদস্য।
পূর্বাভাস মডেল OPA.
আপডেট সময়কাল : ৮ ই জানুয়ারি রাত ৯ টা।

Advertisements


Advertisements