গতকাল দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আজ আরও শক্তি বৃদ্ধি করে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। চলুন দেখে নেই বঙ্গোপসাগর এর বর্তমান অবস্থা কি? ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, সন্ধা ৭ টা
গতকাল থেকেই ধীরে ধীরে লঘুচাপটি ঘনীভূত হতে দেখা যায়। পরবর্তীতে আজ সকালে আরও দ্রুত ঘনীভূত হয় এবং দুপুর নাগাদ নিম্নচাপে পরিণত হয়। এর বর্তমান বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় 45কিমি/ঘন্টা যা দমকা হাওয়াসহ 60 কিমি/ঘন্টা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এর কি আরো শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা আছে?
একটি সিস্টেম শক্তিশালী হতে হলে যে কয়েকটি নিয়ামকের প্রয়োজন পড়ে (যেমন, সমুদ্রপৃষ্ঠে অনুকূল তাপমাত্রা (>২৬°সে) , ন্যূনতম ভার্টিক্যাল শিয়ার, যথেষ্ট জলীয় বাষ্প সরবরাহ, অনুকূল MJO, অনুকূল বায়ুমণ্ডলীয় ওয়েভ, অনুকূল সমুদ্রপৃষ্ঠের পোটেনশিয়াল এনার্জি, নিরক্ষীয় শান্ত বলয়, Velocity Potential/Outflow ইত্যাদি) এর মধ্যে ভার্টিক্যাল শিয়ার ও নিরক্ষীয় শান্ত বলয় ছাড়া প্রায় সবই অনুকূল রয়েছে।
বর্তমানে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে বেশিরভাগ প্যারামিটার অনুকূল থাকলেও ভার্টিক্যাল শিয়ার উচ্চ রয়েছে এবং ইন্টার ট্রপিক্যাল কনভারজেন্স জোন অনুপস্থিত। মূলত ইন্টার ট্রপিক্যাল কনভারসেন্স জোন বা নিরক্ষীয় শান্ত বলয় দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে থাকায় উক্ত নিয়ামক গুলোর কারণে সেখানেই অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে এবং ভারত মহাসাগরে একাধিক ট্রপিকাল সিস্টেম বা সাইক্লোন সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি নিরক্ষীয় বঙ্গোপসাগর এলাকায়ও পরিবেশ কিছুটা অনুকূল চলমান থাকতে পারে। কিন্তু বঙ্গোপসাগর এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক এর মধ্যে দুইটি নিয়ামক অনুপস্থিত থাকায় এবং এখন ট্রপিকাল সাইক্লোন মৌসুম না হওয়ায় বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি সুযোগ পাবে না শক্তিশালী হওয়ার।
তবে অন্যান্য অনুকূল পরিবেশ অনুযায়ী এটি সামান্য ঘনীভূত হলেও এটির ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই ইনশাআল্লাহ। বরং সামনে পরিবেশ কিছুটা প্রতিকূল হয়ে যেতে পারে। আর এটির বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হওয়ারও কোনো সম্ভাবনা নেই, আর এর কোন প্রভাবও বাংলাদেশে পড়ার সম্ভাবনা নেই, ইনশাআল্লাহ। এটি মূলত শ্রীলংকার দিকে গতিশীল হতে পারে।
নিচে দেখে নিন আমেরিকান আবহাওয়া মডেল অনুসারে লঘুচাপটির বর্তমান অবস্থান এবং স্যাটেলাইট চিত্রে বর্তমান অবস্থান
GFS CURRENT WIND PATTERN AT 850HPA
Advertisements