
ধেঁয়ে আসছে দেশের দিকে মাঝারি থেকে প্রায় শক্তিশালী বৃষ্টি বলয় “ঝটিকা”।
এটি একটি ক্রান্তীয় বৃষ্টিবলয় ও আংশিক বৃষ্টিবলয়, মানে এই বৃষ্টি বলয়ে দেশের সকল এলাকায় বৃষ্টি ঝড়ানোর সম্ভাবনা কম। তবে কভারেজের দিক থেকে অন্তত দেশের ৬০-৭০% এলাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে।
এটি চলতি বছরের দ্বিতীয় ক্রান্তীয় বৃষ্টি বলয়, যা ১০ ও ১১ তারিখে দক্ষিণ চট্টগ্রাম বিভাগ ও রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিংহ বিভাগে বেশি সক্রিয় হতে পারে। ও পরবর্তীতে ১৪ তারিখ হতে দেশের অনেক এলাকায় সক্রিয় হতে পারে।
অধিক সক্রিয়ঃ সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ বিভাগ।
মাঝারি সক্রিয় : রাজশাহী, ঢাকা ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম বিভাগ।
কম সক্রিয়ঃ খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বাকি এলাকা।
নাম : প্রায় শক্তিশালী বৃষ্টি বলয় ঝটিকা।
টাইপ : আংশিক বৃষ্টিবলয়।
কাভারেজ : দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা।
ধরন : ক্রান্তীয় বৃষ্টি বলয়।
সময়কাল : বিরতিসহ ১০ ই এপ্রিল টু ২২ শে এপ্রিল।
কালবৈশাখী : আছে বিভিন্ন এলাকায়।
বজ্রপাত : অপেক্ষাকৃত তীব্র
বন্যা : নেই
একটানা বর্ষন : ১০ ও ১১ তারিখে কক্সবাজার ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায়।
সিস্টেম : একটি লঘুচাপ
ঝড় : এই বৃষ্টি বলয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা আছে।
সাগর : বেশিরভাগ সময়েই প্রায় নিরাপদ থাকতে পারে।
নোট : বৃষ্টিবলয় ঝটিকা চলাকালীন সময়ে দেশের আকাশ অধিকাংশ এলাকায় আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। ও অধিক সক্রিয় এলাকায় মেঘলা থাকতে পারে।
ঝটিকায় অধিকাংশ বৃষ্টিপাত হতেপারে আকস্মিকভাবে ও সল্পস্থায়ীভাবে। হটাৎ উত্তর পশ্চিমে কালো মেঘ প্রচন্ড দমকা হাওয়া, তারপর বজ্রসহ বৃষ্টি এরপর আবহাওয়া পরিস্কার।
বিবরন : এই বৃষ্টিবলয় টি ১০ ই এপ্রিল উত্তর বঙ্গ রংপুর বিভাগ ও কক্সবাজার হয়ে দেশে প্রবেশ করতে পারে।
ও ২২ শে এপ্রিল সিলেট হয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে।
*এই বৃষ্টি বলয় চলাকালীন সময়ে দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ এলাকায় পানি সেচের চাহিদা পুরন হতে পারে।
বৃষ্টিবলয় ঝটিকা চলাকালীন সময়ে দেশের আবহাওয়া অধিকাংশ এলাকায় আরামদায়ক থাকতে পারে, তবে বরিশাল, খুলনা ভ রাজশাহী বিভাগের কিছু এলাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ চলতে পারে।
ঝটিকা চলাকালীন সময়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর অধিকাংশ সময়েই বায়ুচাপের তারতম্যের কারনে কিছুটা উত্তাল থাকতে পারে।
ঝটিকা চলাকালীন সময়ে বেশি সক্রিয় স্থানে রোদের উপস্থিতি তেমন পাওয়া যাবেনা ইনশাআল্লাহ।
মেঘের অভিমুখ: অধিকাংশ এলাকায় উত্তর পশ্চিম হতে দক্ষিণ পূর্ব দিকে।
বন্যার সতর্কতাঃ নেই
বজ্রপাতঃ এই বৃষ্টি বলয়ে দেশের অধিকাংশ এলাকায় তীব্র বজ্রপাত হতে পারে।
আসুন একনজরে দেখেনেই বৃষ্টি বলয় ঝটিকা চলাকালীন সময়ে দেশের কোন বিভাগে গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ও বৃষ্টি বলয়ের ১৩ দিনে কোন বিভাগে গড়ে কত দিন বৃষ্টির সম্ভ
ঢাকা ৫০-৭০ মিলিমিটার, গড়ে ৬দিন
খুলনা ২০-৩০ মিলিমিটার গড়ে ৪ দিন
বরিশাল ২০-৩৫ মিলিমিটার গড়ে ৩ দিন
সিলেট ৯০-১৩০ মিলিমিটার গড়ে ৮ দিন
ময়মনসিংহ ৫০-৭০ মিলিমিটার গড়ে ৭ দিন
রাজশাহী ৩০-৪৫ মিলিমিটার গড়ে ৫ দিন
রংপুর ৬০-৯০ মিলিমিটার গড়ে ৭ দিন
চট্টগ্রাম ১৫-৫০ মিলিমিটার গড়ে ৩/৫ দিন।
আসুন একনজরে দেখে নেই, বৃষ্টি বলয় ঝটিকা চলাকালীন সময়ে আপনার জেলায় গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টি হতেপারে।
জেলার নাম। বৃষ্টির পরিমান (মিমি)
সিলেট। ১১০+
সুনামগঞ্জ। ১১০+
হবিগঞ্জ। ৯০+
মৌলভীবাজার। ৬০+
রংপুর, ৬০+
দিনাজপুর, ৭০+
ঠাকুরগাঁও। ৫৫+
পঞ্চগড় ৯০+
নীলফামারী ৮০+
লালমনীরহাট। ৭০+
কুড়িগ্রাম। ১০০+
গাইবান্ধা ৬০+
জয়পুরহাট। ৬৫+
নওগাঁ ৫০+
বগুড়া ৪৫+
চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ৩৫+
রাজশাহী ৪৫+
নাটোর। ৪৫+
সিরাজগঞ্জ। ৫০+
পাবনা ৪০+
খুলনা(উত্তর) ৪০+
খুলনা (দক্ষিন) ৩৫+
সাতক্ষীরা (উত্তর) ৩৫+
সাতক্ষীরা(দক্ষিণ) ৩৫+
বাগেরহাট(উত্তর) ৪০+
বাগেরহাট(দক্ষিন) ২৫+
যশোর, ৪৫+
নড়াইল। ৩৫+
মাগুরা ৫০+
ঝিনাইদহ। ৪৫+
চুয়াডাঙ্গা ৪০+
মেহেরপুর। ৪০+
কুষ্টিয়া ৪০+
বরিশাল, ৩৫+
পিরোজপুর। ৩৫+
ঝালকাঠি ৩০+
পটুয়াখালী ৩০+
বরগুনা ৩০+
ভোলা ৩০+
চট্টগ্রাম, ২৫+
ফেনী ২৫+
লক্ষ্মীপুর ৩০+
চাঁদপুর। ৩০+
কুমিল্লা দক্ষিণ ৩৫+
কুমিল্লা উত্তর ৪০+
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪৫+
খাগড়াছড়ি ৩০+
রাঙ্গামাটি ২৫+
বান্দরবান। ৫০+
কক্সবাজার। ৭০+
নোয়াখালী, ৩৫+
ঢাকা ৫৫+
গোপালগঞ্জ। ৪০+
মাদারীপুর। ৪৫+
শরিয়তপুর ৫০+
ফরিদপুর। ৪০+
রাজবাড়ী। ৩৫+
মানিকগঞ্জ। ৪৫+
মুন্সীগঞ্জ। ৪৫+
নারায়ণগঞ্জ। ৪৫+
নরসিংদী ৭০+
গাজীপুর। ৬০+
টাঙ্গাইল। ৫০+
কিশোরগঞ্জ। ৭৫+
ময়মনসিংহ। ৬৫+
জামালপুর। ৮০+
শেরপুর। ১০০+
নেত্রকোনা ৬০+
কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ) ২৫+ মিলিমিটার।
২৪ পরগনা ২০+
*এখানে দেওয়া বৃষ্টির পরিমান একটা গড় ধারনা মাত্র, স্থানভেদে এর পরিমান কিছুটা হেরফের হতেপারে। ও দেশের কোন কোন ক্ষুদ্র এলাকায় কিছুটা বেশি বৃষ্টি হতে পারে ও কোন ক্ষুদ্র স্থানে বৃষ্টি অনেক কম হতে পারে।
নোট : প্রাকৃতিক কারনে বৃষ্টি বলয় ঝটিকা এর সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তন ও এর শক্তি কিছুটা হ্রাস, বৃদ্ধি বা বিলুপ্ত হতেপারে।
পূর্বাভাস তৈরি : Bangladesh Weather Observation Team Ltd. (BWOT)
Graphic: ECMWF Model from Windy
[Copyright : বাংলাদেশে BWOT একমাত্র আবহাওয়া সংস্থা যারা বৃষ্টি বলয় নামকরন করে বৃষ্টিবলয়ের পূর্বাভাস করার প্রচলন করে। তাই BWOT ব্যাতিত আর কেউ বৃষ্টি বলয় নামকরণ করে পূর্বাভাস করে বিভ্রান্তি তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন]
*DISCLAIMER: এটা শুধুমাত্র আমাদের গবেষণায় পাওয়া তথ্য, কোনো সরকারি পূর্বাভাস বা সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি না এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত অফিসিয়াল পূর্বাভাসের জন্য সবাই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করুন।
এবং এই পূর্বাভাসের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করুন, অথবা তাদের পূর্বাভাস অনুসরণ করুন।
ধন্যবাদ : Bangladesh Weather Observation Team- BWOT
আপডেট : ০৯ ই এপ্রিল ২০২৫, রাত ১১:৩০ টা
Advertisements