ধেঁয়ে আসছে প্রবল বৃষ্টিবলয় শ্রাবণী । এটি একটি পূর্ণাঙ্গ বেশ শক্তিসম্পন্ন বৃষ্টি বলয়।

এটিও একটি নিরব বৃষ্টিবলয়, মানে এই বৃষ্টি বলয়েও দেশের অধিকাংশ এলাকায় সামান্য বজ্রপাত হতেপারে।

এটি চলতি বছরের ১১ তম বৃষ্টিবলয়,ও এই বছরের তৃতীয় মৌসূমী বৃষ্টিবলয়। এই বৃষ্টি বলয়ের প্রথমদিকে দেশের উত্তর, দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে বেশি সক্রিয় থাকতে পারে। ও সমগ্র উপকূল।

সর্বাধিক সক্রিয়: চট্টগ্রাম, সিলেট বরিশাল খুলনা বিভাগের সকল জেলা। দক্ষিণে বেশি।
অধিক সক্রিয়ঃ ময়মনসিংহ, ঢাকা বিভাগের অধিকাংশ এলাকা।
মাঝারি সক্রিয় : রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সকল জেলা।
কম সক্রিয়ঃ

নাম : প্রবল শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় শ্রাবণী
টাইপ : পূর্ণাঙ্গ বৃষ্টিবলয়।
কাভারেজ : সমগ্র বাংলাদেশ, সমগ্র, নেপাল, ভূটান ও ভারতের প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা।
ধরন : মৌসূমী বৃষ্টিবলয়।
সময়কাল : ১২ ই অগাস্ট টু ২০ শে অগাস্ট ২০২৪ সম্ভাব্য।

কালবৈশাখী : নেই
বজ্রপাত : অপেক্ষাকৃত কম।
বন্যা : আছে, সিলেট ও চট্টগ্রাম(মধ্য-দঃ) বিভাগের নিচু এলাকায় সাময়িক।
একটানা বর্ষন : আছে।
সিস্টেম : মনসুন অক্ষরেখা যুক্ত সার্কুলেশন/স্থল লঘুচাপ আছে।

ঝড় : এই বৃষ্টি বলয়ে কোন ঝড়ের সম্ভাবনা নেই ইনশাআল্লাহ।
সাগর : বেশিরভাগ সময়েই কিছুটা উত্তাল থাকতে পারে।

নোট : বৃষ্টিবলয় শ্রাবণী চলাকালীন সময়ে বেশি সক্রিয় এলাকায় বেশিরভাগ সময়ই আকাশ মেঘাছন্ন থাকতে পারে। এবং উক্ত এলাকার অধিকাংশ বৃষ্টিপাত হতে পারে একটানা দীর্ঘস্থায়ী। যদিও দিনের বেলা মাঝেমধ্যে বিরতি নিতে পারে।

ধেঁয়ে আসছে প্রবল বৃষ্টিবলয় শ্রাবণী । বৃষ্টি বলয় শ্রাবণী এর বিস্তারিত বিবরণ 

বিবরন : এই বৃষ্টিবলয় আগামিকাল ১২ ই অগাস্ট বরিশাল ও খুলনা বিভাগ দিয়ে দেশে প্রবেশ করবে এবং আগামী ২০ শে আগস্ট রংপুর হয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে।

*এই বৃষ্টি বলয় চলাকালীন সময়ে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিচু এলাকায় সাময়িক বন্যার সৃষ্টি হতে পারে।

বৃষ্টিবলয় শ্রাবণী চলাকালীন সময়ে দেশের রাজশাহী বিভাগের কিছু এলাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ সক্রিয় থাকতে পারে এবং কিছুটা ভ্যাপসা কর অনুভূত হতে পারে। এবং অন্যত্র বেশ আরামদায়ক তাপমাত্রা থাকতে পারে।

শ্রাবণী চলাকালীন সময়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর অধিকাংশ সময়েই বায়ুচাপের তারতম্যের কারনে কিছুটা উত্তাল থাকতে পারে।
শ্রাবণী চলাকালীন সময়ে বেশি সক্রিয় স্থানে রোদের উপস্থিতি তেমন পাওয়া যাবেনা ইনশাআল্লাহ।

মেঘের অভিমুখ: অধিকাংশ এলাকায় দক্ষিণ পশ্চিম হতে উত্তর পূর্ব দিকে ও পরবর্তিতে পশ্চিম হতে পূর্ব দিকে।

বন্যার সতর্কতাঃ দেশের উপকূলে প্রচুর বৃষ্টির জন্য বৃষ্টি জনিত জলাবদ্ধতা তৈরী হতে পারে।

বজ্রপাতঃ এই বৃষ্টি বলয়ে দেশের অধিকাংশ এলাকায় হালকা বজ্রপাত হতে পারে।

আরো জানুনঃ বৃষ্টি বলয় কি? এর ধরন কি কি?

আসুন একনজরে দেখেনেই বৃষ্টি বলয় শ্রাবণী চলাকালীন সময়ে দেশের কোন বিভাগে গড়ে কত মিলিমিটার ও গড়ে কত দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে?

ঢাকা ১৫০-২০০ মিলিমিটার, গড়ে ৬দিন
খুলনা ২৮০-৩৫০ মিলিমিটার গড়ে ৮ দিন
বরিশাল ২৫০-৩৫০ মিলিমিটার গড়ে ৭ দিন
সিলেট ৩০০-৩৫০ মিলিমিটার গড়ে ৮ দিন
ময়মনসিংহ ১৫০-২২০ মিলিমিটার গড়ে ৬ দিন
রাজশাহী ১২০-১৬০ মিলিমিটার গড়ে ৬ দিন
রংপুর ১২০-১৮০ মিলিমিটার গড়ে ৬ দিন
চট্টগ্রাম ২৫০-৩৫০ মিলিমিটার গড়ে ৬/৭ দিন।

আসুন একনজরে দেখে নেই, বৃষ্টি বলয় শ্রাবণী চলাকালীন সময়ে আপনার জেলায় গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টি হতেপারে।
জেলার নাম। বৃষ্টির পরিমান (মিমি)

সিলেট। ৩৫০+

সুনামগঞ্জ। ৩৩০+

হবিগঞ্জ। ৩৪০+

মৌলভীবাজার। ৩০০+

রংপুর, ১৫০+

দিনাজপুর, ১৪০+

ঠাকুরগাঁও। ১৪০+

পঞ্চগড় ২০০+

নীলফামারী ১৫০+

লালমনীরহাট। ১৫০+

কুড়িগ্রাম। ১৯০+

গাইবান্ধা ১৩০+

জয়পুরহাট। ১২০+

নওগাঁ ১৩০+

বগুড়া ১৫০+

চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ১৭০+

রাজশাহী ১৭০+

নাটোর। ১৮০+

সিরাজগঞ্জ। ১৯০+

পাবনা ২০০+

খুলনা(উত্তর) ২৮০+
খুলনা (দক্ষিন) ৩৫০+

সাতক্ষীরা (উত্তর) ২৮০+
সাতক্ষীরা(দক্ষিণ) ৩৮০+

বাগেরহাট(উত্তর) ২৫০+
বাগেরহাট(দক্ষিন) ৩৭০+

যশোর, ২৫০+

নড়াইল। ২৪০+

মাগুরা ২৪০+

ঝিনাইদহ। ২৭০+

চুয়াডাঙ্গা ২৫০+

মেহেরপুর। ২৬০+

কুষ্টিয়া ২৪০+

বরিশাল, ৩০০+

পিরোজপুর। ২৭০+

ঝালকাঠি ৩২০+

পটুয়াখালী ৩০০+

বরগুনা ৩২০+

ভোলা ৩০০+

চট্টগ্রাম, ২৫০+

ফেনী ২৬০+

লক্ষ্মীপুর ২৬০+

চাঁদপুর। ২৮০+

কুমিল্লা দক্ষিণ ২৫০+
কুমিল্লা উত্তর ২১০+

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২০০+

খাগড়াছড়ি ২০০+

রাঙ্গামাটি ২৫০+

বান্দরবান। ৩০০+

কক্সবাজার। ৪০০+

নোয়াখালী, ২৯০+

ঢাকা ২০০+

গোপালগঞ্জ। ২৭০+

মাদারীপুর। ২৫০+

শরিয়তপুর ২৪০+

ফরিদপুর। ২৫০+

রাজবাড়ী। ১৮০+

মানিকগঞ্জ। ২২০+

মুন্সীগঞ্জ। ২৩০+

নারায়ণগঞ্জ। ২০০+

নরসিংদী ২১০+

গাজীপুর। ২২০+

টাঙ্গাইল। ২২০+

কিশোরগঞ্জ। ২৩০+

ময়মনসিংহ। ২১০+

জামালপুর। ২২০+

শেরপুর। ২২০+

নেত্রকোনা ২৩০+
কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ) ২৫০+ মিলিমিটার।
২৪ পরগনা ৩৫০+

বৃষ্টি বলয় শ্রাবণী এর পূর্বাভাসে যা বিবেচনায় রাখতে হবে :

*এখানে দেওয়া বৃষ্টির পরিমান একটা গড় ধারনা মাত্র, স্থানভেদে এর পরিমান কিছুটা হেরফের হতেপারে। ও দেশের কোন কোন ক্ষুদ্র এলাকায় কিছুটা বেশি বৃষ্টি হতে পারে ও কোন ক্ষুদ্র স্থানে বৃষ্টি অনেক কম হতে পারে।
নোট : প্রাকৃতিক কারনে বৃষ্টি বলয় শ্রাবণী এর সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তন ও এর শক্তি কিছুটা হ্রাস, বৃদ্ধি বা বিলুপ্ত হতেপারে।

পূর্বাভাস তৈরি : Bangladesh Weather Observation Team – BWOT
Graphic: ECMWF Model modified by BWOT

[Copyright : বাংলাদেশে BWOT একমাত্র আবহাওয়া সংস্থা যারা বৃষ্টি বলয় নামকরন করে বৃষ্টিবলয়ের পূর্বাভাস করার প্রচলন করে। তাই BWOT ব্যাতিত আর কেউ বৃষ্টি বলয় নামকরণ করে পূর্বাভাস করে বিভ্রান্তি তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন]

*DISCLAIMER: এটা শুধুমাত্র আমাদের গবেষণায় পাওয়া তথ্য, কোনো সরকারি পূর্বাভাস বা সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি না এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত অফিসিয়াল পূর্বাভাসের জন্য সবাই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করুন।
এবং এই পূর্বাভাসের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করুন, অথবা তাদের পূর্বাভাস অনুসরণ করুন।

ধন্যবাদ : Bangladesh Weather Observation Team- BWOT
আপডেট : ১১ ই অগাস্ট ২০২৪, রাত ৮:৩০ টা